পাহাড়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা রাঙামাটি পরিদর্শন করেছেন তিন উপদেষ্টাসহ ৬ সদস্যের একটি দল। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় অর্ন্তর্বতী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি পার্বত্য জেলা রাঙামাটি পৌঁছান। পরে সেনানিবাসে স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যক্তিদের সাথে বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠকে পাহাড়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তারা আলাপ আলোচনা করেন। বৈঠক শেষ করে তারা দুপুরে তারা খাগড়াছড়ি যান।

আজ (২১ সেপ্টেম্বর) শনিবার দুপুরে তারা হেলিকপ্টার করে ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজ হেলিপ্যাডে এসে পৌঁছান। পরে সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বৈঠকে বসেন তারা।

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষ-সহিংসতার প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকে ৩ পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাঙ্গামাটিতে যানবাহনে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির অতিরিক্ত টহল দল পার্বত্য অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল দিচ্ছে।

উল্লেখ, মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মামুন নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার জেরে বুধবার থেকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে দীঘিনালায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালালে পরিস্থিতি সাম্প্রায়িক সহিংসতায় রূপ নেয়। পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে দীঘিনালা লারমা স্কয়ারে অর্ধশতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

যার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতায় খাগড়াছড়ি সদরে দুইজন ও দীঘিনালায় একজন নিহতের ঘটনা ঘটে।